একটা রাস্তা আছে, দেখতে চাও তোমরা?
রঙিন আকাশ, যেনো পুরোটাই রংধনু, দিগন্তে মোড়া।
রাস্তাটা পাথরের নয়, অনুভবে তুলোর নরম পরশ ছোঁয়ানো;
সাধারণের মতো নয়, আকাশগামী সরলরেখায় পথটা চোখ জুড়ানো!
মাঝ আকাশে কিছু অমায়িক ঘুড়ি হাওয়ায় উড়তে থাকে,
মন কাড়ে; এখনই পিছু নিই ঘুড়িটার।
ঊর্ধ্বপানে ঘুড়ির দিকে চেয়ে ছুটতে গিয়ে পথ হারালাম!
এখন যেখানে আছি রাস্তাটা কর্দমাক্ত,
পথ চলতেই গা গিজগিজ করে, তাই খানিকটা খাড়াইলাম।
আকাশের দিকে চেয়ে দেখি, ঘুড়িটাও কোথায় যেন হারিয়ে গেছে;
বেয়াড়া কাদায় হাঁটা মুশকিল, পথ যে নিতে হবে বেছে।
সামনে শুধুই আঁধার, পিছে ফিরে দেখি কিঞ্চিৎ আলো জ্বলছে,
মৃদু নিয়নের ঝিলিক আমায় এগিয়ে যেতে বলছে!
কিছুটা কষ্ট আছে, তবু ফিরতি পথের আনন্দ মনে।
সেই পশমি তুলোয় ফের পা রাখতেই,
মেঘাচ্ছন্ন আকাশের বাদলধারা আমায় ভিজালো, অশ্রুসিক্ত আমি সুখের টানে।
লিকলিকে কুচ্ছিত মেঠো গন্ধও ধুয়ে মুছে গেছে,
মেঘ সরে গিয়ে আকাশের মলিনতা দূর করেছে।
এখানে চাঁদ আর জোনাকির মিটিমিটির সাথে
আমায় পথ দেখাতে ধোঁয়াটে নিয়ন বাতির আলো আছে।
আই রাস্তায় শান্তির ছায়া আছে, হৃদয় নিংড়ানো সতেজ হাওয়া আছে,
আর কখনো এ পথ হারাবো না মিছে মিছে।