রৌদ্রোজ্জ্বল দুপুরে সূর্যের সাথে কাহনে
এক রাস্তার পাগল মেতেছে বলে-
কি অপূর্ব তোমার আঁচ, শাখাস্নিগ্ধ নদীর জল
গড়ায়েছ শরীরের বহনে।
তোমার উষ্ণতা ছড়িয়ে, সারাত্বক জ্বলিয়া কৃষ্ণকায়
অবাক দৃষ্টিতে চেয়ে মোর বুক ফেটে যায়!
বৈশাখ বা হোক না তা বাংলা বর্ষের আগমনে
মেতে উঠি আমি হরষে-উল্লাসে!
তারিপরে বিধাতা দেখায় তার সৃষ্টির অগ্নিলীলা
সূর্য নামে নিকৃষ্ট রাক্ষস আর চলে তাঁর ধ্বংসলীলা।
গায়ে ঘর্ম আর পায়ে বর্ম হাতে চলে হাতুড়ি,
শরীরের ছিটেফোঁটায় নেই ক্লান্তির চিহ্নটি।
তারা চলে অবিরাম, মেটে না তবু পেটের ক্ষুধাটুকুই!
এসব ভাবিয়া কেবল ঘর্মাসক্ত পাগল;
ধীরগতিতে হাঁটিয়া চলে, চলতেই থাকে
গন্তব্য তার আরো দূর!
কি করি আমি, পাই না কূল;
ছায়া নেই এইটুকুন!
ঘর থেকে বেরিয়ে বড্ড করেছি ভুল।
সে রাস্তার পাগল, স্নানাসিক্ত মগজের দাবিদার
এই ক্লান্ত আমি!