আত্মত্যাগের পরিণাম | মুনতাসির রহমান | এসএসসি ব্যাচ ২০২৫

ভাবতেই অবাক লাগে, একজন মানুষ তার সারাটা জীবন বিলিয়ে দিলো একটা দেশকে অত্যাচার এবং নির্মমতা, অন্যায় থেকে উদ্ধার করতে, তাঁর জীবনকে আমাদের জাতি এভাবে শেষ করালো। যিনি ১৩ টা বছর কারাগারে বন্দী হয়ে থাকলেন। সাড়ে তিন বছর বিধ্বস্ত একটা দেশকে পুনরুদ্ধারের কাজে নেমেছিলেন তিনি। সেই ব্যক্তিটাকে শেষ পর্যন্ত উপাধি দেয়া হয়েছিলো “স্বৈরাচারী”। বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারকে হত্যা করে, সকালে রেডিতে প্রচার করা হলো ” স্বৈরাচারী শেখ মুজিবকে হত্যা করা হয়েছে ” ( সূত্র : মওলানা শেখ আবদুল হালিম ; শেখ মুজিবের জানাজা পড়ানো স্থানীয় একটি মসজিদের ইমাম)। বঙ্গবন্ধুর শরীরে ছিলো ১৮ টি গুলি। তাঁর দুপায়ের গোড়ালীর রগই কাটা ছিলো। মিলিটারীরা তাঁর রক্তাক্ত শরীর বিনা গোসলে কবর দিয়ে দিতে নির্দেশ দিয়েছিলো। শেখ মুজিবেরই দান করা রিলিফের কাপড় থেকে এক খন্ড কাফনের কাপড় জুটেছিলো তাঁর। ইয়াসির আরাফাত, ফিদেল কাস্ট্রোর মতো মানুষেরা যাকে অনুপ্রেরণা মানতো, তাঁর জানাজাতে ছিলেন না কোনো বিশ্বনেতা, ছিলো সবমিলিয়ে ১৬-১৭ জন। ১৬ই আগস্ট ডেইলি টেলিগ্রাম পত্রিকায় শিরোনামে আসা ” এই করুণ মৃত্যুই যদি শেখ মুজিবের ভাগ্যে ছিলো তাহলে বাংলাদেশ সৃষ্টির কোনো প্রয়োজন ছিলো না “।
সত্যিই আমরা ইতিহাসের পাতায় একটি বেইমান জাতি। আল্লাহ তায়ালা শেখ মুজিবকে জান্নাত দান করুক। আমিন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *