‘ আমি হিমালয় দেখিনি কিন্তু শেখ মুজিবকে দেখেছি, ব্যক্তিত্ব ও সাহসিকতায় তিনিই হিমালয় ‘ – ফিদেল ক্যাস্ট্রো বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯২০ সালের ১৭ই মার্চ তিনি গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি হিসেবে তিনি বিশ্বখ্যাত। ছোটোবেলা থেকে তিনি তাঁর মহত্ত্বের বহু পরিচয় দিয়েছেন।দেশের কল্যাণের জন্য রাজনীতিকে গ্রহণ করেছেন। ব্রিটিশ আমলেই তিনি রাজনীতিবিদ হিসেবে জনপ্রিয়তা লাভ করেন। তিনি তখন মুসলিম লীগের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন। দেশভাগের পর তিনি মুসলিম লীগ থেকে বিতাড়িত হন। এরপর তিনি আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। ভাষা আন্দোলন ও যুক্তফ্রন্টে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৬৬ সালে তিনি পাকিস্তান সংসদে ‘ছয় দফা’ দাবি উত্থাপন করেন। ১৯৬৭ সালে তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৭০ সালে তাঁর দল আওয়ামী লীগ জাতীয় নির্বাচনে জয়ী হয়। পাকিস্তান সরকার ক্ষমতা হস্তান্তর নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু করলে তিনি ১৯৭১ সালের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণে বাঙালি জাতিকে যুদ্ধ শুরু করার আহবান জানান। ১৯৭১ সালের ২৫ ই মার্চে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী তাঁকে ধরে নিয়ে যায়। এর কিছুক্ষণ আগে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। বাঙলির বিজয়ের পর তিনি ১৯৭২ সালের ১০ই জানুয়ারি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন। তিনি এই দেশের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন। দেশের স্বাধীনতার জন্য কাজ করতে গিয়ে তিনি বহুবার কারাবরণ করেছেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্টে একদল কতিপয় বিপথগামী সেনাসদস্যদের হাতে তিনি সপরিবারে নিহত হন৷ এটি বাঙালি সবচেয়ে কালো অধ্যায় ও সবচেয়ে জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড।