খেলাধুলা হলো এমন একধরনের কাজ যা বিনোদনের জন্য অথবা কখনো কখনো জ্ঞান অর্জনের সরঞ্জাম হিসাবে গণ্য করা হয়। খেলাধুলা মানুষজাতির জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। খেলাধুলা বেশিরভাগ সময় মানুষ আনন্দের জন্য করে থাকে। তবে আন্তর্জাতিকভাবেও অনেক ধরনেএ খেলাধুলা হয়ে থাকে, যেমন – ক্রিকেট, ফুটবল,হকি ইত্যাদি। আন্তর্জাতিকভাবে আয়োজিত খেলাধুলার প্রতিযোগিতায় পেশাদার ক্রীড়াবিদরা খেলে থাকেন। পেশাদার ক্রীড়াবিদরা নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত করে দর্শকদের আনন্দ দিয়ে থাকেন। খেলাধুলা দুই প্রকারের হয়ে থাকে। যেমন : শারীরিক পরিশ্রমের খেলা এবং বুদ্ধির খেলা। ক্রিকেট, ফুটবল, টেনিস, হকি সহ আরো অনেক খেলা হলো শারীরিক পরিশ্রমের। এবং দাবা, পাজল সহ আরো অনেক খেলা রয়েছে, যেগুলো বুদ্ধির খেলার মধ্যে পড়ে থাকে। খেলাধুলা বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। এককভাবে খেলা যায় এমন অনেক খেলা আছে এবং দলীয় ভাবে খেলা যায় এমনও অনেক খেলা রয়েছে। ফুটবল, ক্রিকেট, হকি এসব খেলা মূলত দলীয়ভাবে খেলা হয়ে থাকে। প্রচলিত কিছু খেলার বর্ণনা দেয়া হলো নিচে; ক্রিকেট : খেলাধুলার অত্যন্ত জনপ্রিয় খেলা ক্রিকেট। ক্রিকেট খেলার উদ্ভব হয় ইংল্যান্ডে। ক্রিকেট হচ্ছে ব্যাট ও বলের একটি দলীয় খেলা যাতে এগারোজন খেলোয়াড়বিশিষ্ট দুই টি দলের খেলা। ক্রিকেটে বর্তমানে প্রধানত তিনটি ফরম্যাট রয়েছে, যথা: ওয়ানডে, টি২০, টেস্ট। ফুটবল : ফুটবল একটি দলীয় খেলা। এটি বৈশ্বিকভাবে ব্যাপক পরিচিত এবং জনপ্রিয়। এটি আন্তর্জাতিক ফুটবল ফেডারেশন ( ফিফা) কর্তৃক পরিচালিত খেলা। ফুটবলে একটি ম্যাচে দুটি দল করে খেলা যায়, একেকটি দলে ১১ জন করে খেলোয়াড় থাকে। ফুটবলে একেকটি ম্যাচ ৯০ মিনিটের হয়, ৪৫ মিনিট করে দুটি অংশ থাকে একটি ম্যাচে, প্রথম ৪৫ মিনিট পর সামান্য কিছু সময়ের জন্য হাফটাইম দেয়া হয়। কেবল যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় এই খেলাটিকে “সকার” নামে নামকরণ করা হয়েছে। হকি : হকি দুই দলের মধ্যে খেলা হয় এমন খেলার গোত্রীয় একটি খেলা। আন্তর্জাতিক হকি ফেডারেশন দ্বারা এই খেলাটি পরিচালিত হয়। এই খেলাটিতেও দুটি দল থাকে, একটি দলে ১১ জন করে খেলোয়াড় থাকে। হকিও অন্যতম বিখ্যাত কিছু খেলার মধ্যে অন্যতম। এসব খেলা আমাদের দেশ ছাড়াও সম্পূর্ণ বিশ্বে সমান বিখ্যাত। সবাই এসব খেলার সাথে বহু বছর ধরে সখ্যতা গড়ে তুলেছে। এসব খেলার জন্য মানুষ পাগলাটে ঘটনার সৃষ্টি করতেও পিছিয়ে নেই। আমরা অসংখ্য ধরনের পাগলাটে ঘটনা ফুটবল এবং ক্রিকেটে দেখে থাকি। আমাদের সংস্কৃতিতে খেলাধুলা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে রয়েছে বহুকাল ধরে। আমরা ছোটবেলা থেকেই খেলাধুলার প্রতি ঝুকে থাকি। আমরা খেলাধুলার মাধ্যমেই আমাদের শৈশবকালের বেশিরভাগ সময় কাটাই। আমাদের জীবনের বেশিরভাগ বন্ধু তৈরি হয় খেলাধুলার মাধ্যমে। আমরা সামাজিকতা বাড়াতে পারি খেলাধুলার মাধ্যমে। খেলাধুলার মাধ্যমে শারীরিক কসরত হয় আমাদের। শারীরিক পরিশ্রম আমাদের জীবনে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যাই। সবমিলিয়ে একজন মানুষের জীবনে পড়ালেখার পাশাপাশি খেলাধুলার গুরুত্ব অপরিসীম। তাই, সবাইকে পড়ালেখার পাশাপাশি নিয়মিত খেলাধুলা করা উচিত।