খালি পায়ে হাঁটা শুরু বোধ হয় বয়স যখন ৫।
মাঝে অভ্যাসটা বড় হওয়ার ব্যাস্ততায় কেটে গেলো,
তবে মাটির স্পর্শ পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা মনে নাড়া দিতো।
সুযোগ হয়ে উঠেনি; মন ও সাড়া দেয়া ছেড়ে দিল।
বড় হওয়ার ব্যাস্ততা শেষ হলো বছর খানেক আগে,
বড় হয়েছি, খুঁজে পেয়েছি অনেক কিছু।
ব্যাস্ততার বেড়াজালে ঐ মনের ডাক হারিয়েও ফেলেছি।
শুরু হলো আবার পথচলা…
খালি পায়ে গ্রীষ্মে, শীতে তবে আবার বর্ষায় নয়।
ঝড়ে বৃষ্টিতে মাটির স্পর্শের চেয়ে-
এই শহরের ভেতর লুকিয়ে থাকা কলঙ্ক এ পায়ের তালুতে ছোঁয়া দেয়।
কলঙ্কের ছোঁয়া লাগলেও মাঝে, হাঁটা শেষ হয়নি।
যানবাহন ভর্তি যাত্রী, তাদের সবার ছিল গন্তব্য,
উদ্দেশ্য নিয়ে পাড়ি দেয়া এই শহর জুড়ে চলা পিচঢালা অজগরের উপর।
আমার উদ্দেশ্য জানা ছিল না,
হেঁটেছি, মিনিট, ঘন্টা, মাস এমনকি হাঁটতে হাঁটতে পারা দিচ্ছি বছর এ…
দু’চার-ছয় ঘন্টা হেঁটেও ক্লান্ত হলেও মন মানতে চেতোনা,
পথের নুড়ি, বা বাস এর ভাঙ্গা গ্লাস
যেভাবে কাটা পরেছে আমার পা
তা নেহাতই নগণ্য ছিল মনের মাঝে দাগ গুলোর কাছে।
রুক্ষতাও মলিন হয়ে উঠেছিল আমার কাছে।
খালি কুয়োর মত পরে থাকা স্থানটাকে
এই শহর চেয়েছিল এক ফোঁটা জল দিতে
তার কোলাহল দিয়ে;
হলোনা, তৃষ্ণার্ত রয়ে গেলাম।
কোলাহল চিড়ে আজ আমার কাছে এসেছে নতুন স্বর।
এক ফোঁটা জলের স্বাদ পেলাম এই স্বরেই।
আজ হাঁটবোনা ঠিক করেছিলাম,
এখন যে ঠিকানার সন্ধান পেয়েছি তোমার নিমিত্তে,
হাঁটা কি আর বন্ধ করা যায়?